হিন্দু হয়ে বাংলাদেশে থাকার দায়ে জিজিয়া কর না দিতে পারায় হিন্দু মেয়েকে হেনস্থা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ করে বিয়ে করার হুমকি। পিতাকে ছুরিকাঘাত। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০২২

হিন্দু হয়ে বাংলাদেশে থাকার দায়ে জিজিয়া কর না দিতে পারায় হিন্দু মেয়েকে হেনস্থা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ করে বিয়ে করার হুমকি। পিতাকে ছুরিকাঘাত।

A hindu girl harassment in bangladesh for Jizya tax


ঢাকা :
৭৫ বছর আগে অবিভক্ত ভারতের অংশ পূর্ব বাংলা হয়ে যায় নয়া ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তানের পূর্বাংশ। এরপর বাংলাভাষী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ৫১ বছর আগে পূর্ব পাকিস্তান হয় বাংলাদেশ। কিন্তু গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক, তা যেমন গন্ধ ছড়ায়, তেমনি যে দেশে মুসলিমরা
সংখ্যাগরিষ্ঠ সেদেশে অন্য ধর্মাবলম্বী তথা কাফের মালাউন নির্যাতিত হবেই।


১২ আগষ্ট রাজশাহী কলেজের এক হিন্দু ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় মিরাজ ও প্রিন্স নামের দুই মুসলিম যুবক ওই ছাত্রীকে এমন হেনস্থা করতে থাকে যে সে ছাত্রীটি ভয়ে নিশ্চল হয়ে থাকে। স্থানীয় এক যুবক ওই পরিস্থিতি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধারের পরে তাকে এগিয়ে দেন কোচিং সেন্টার অভিমুখে। মেয়েটি বাড়িতে পৌঁছে তার বাবাকে জানালে তিনি রাস্তায় গিয়ে এই দুটি ছেলেকে দেখে হেনস্থার কারণ জানতে চান। এর উত্তরে ছেলে দুটি ওই মেয়ের পিতা-কে ছুরিকাঘাত করে ও মাথায় আঘাত দিয়ে মাটিতে ফেলে। ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে মেয়েটির পিতাকে হিন্দু ও এক সহৃদয় মুসলিম চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। চিকিৎসক বলেন, থানায় অভিযোগ জানানোর লিখিত প্রমাণ দেখালে চিকিৎসা হবে। এরপর ভুরিকাহতকে নিয়ে যাওয়া হয় পানার থানায়। পানার থানা এফআইআর নেয়নি।

সতেরো তারিখ মেয়েটি ও তার পিতা চার মিনিট ছেচল্লিশ সেকেন্ড সময়ের এক ভিডিওতে জানায়, তাদের জীবিকা নির্বাহ হয় একটি সেলুন তথা ক্ষৌরকর্মের দোকান থেকে। হেনস্থাকারী তথা চুরিকাঘাতকারী দুজন মুসলিম যুবক তাদের হিন্দু হয়ে বাংলাদেশে থাকার দায়ে জিজিয়া কর (ইসলামি রাষ্ট্রে অমুসলিমরা শুধু বাঁচার লক্ষ্যে প্রদের কর) দাবি করছে অনেকদিন আগে থেকেই। জিজিয়া কর (Jizya tax)না দিলে ওই হিন্দু মেয়ের পিতাকে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, জিজিয়া নিয়মিত না দিলে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরণ দ্বারা বিয়ে করবে বলেও শাসিয়েছে তারা।

মেয়েটির পিতাকে ভিডিওতে মাথায় ব্যান্ডজ বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়। তিনি বলেন প্রিন্স নামে এক মুসলিম ছেলের দ্বারা ছুরিকাহত হন তিনি। খবর পেয়ে মেয়ের মা স্বামীকে বাঁচাতে বাড়ি থেকে দৌড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ও দেখেন শুধু দুইজন নয় একদল লোকের হাতে প্রহৃত হচ্ছেন স্বামী। মহিলা স্বামী-কে উদ্ধারের লক্ষ্যে বাধা দিলে মহিলার পোশাক ছিঁড়ে ফেলে তার গলা থেকে স্বর্ণ হার ছিনতাই করে দুষ্কৃতিরা। রক্তপাতের সময়ে আহত স্বামীকে নিয়ে যান চন্দ্রিমা থানায়। থানা অভিযোগ রাখেনি। মেয়েটির বাবা নীলমাধব সাহা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad