শ্রীনগর : যোগীরাজ্যের বুলডোজার কি এবার জম্মু-কাশ্মীরেও! নাকি, পুরোটাই ইজরায়েলি কায়দায় জঙ্গি দমনের ছক?
সূত্রের খবর, এদিন পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত নিংরুর বাড়ি ভাঙা হয়। তবে বাড়িটি ভাঙার প্রস্তুতি নিতেই জঙ্গি সংগঠন 'দ্য রেজিসট্যান্ট ফ্রন্ট' হুমকি দেওয়া শুরু করে। যদিও সেই হুমকি উপেক্ষা করে বাড়িটি ভেঙে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
২০১৯-এ পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছিল জইশ জঙ্গিরা। ওই হামলায় ৪০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। আশিক ওই হামলায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিল বলে দাবি প্রশাসনের।
গত এপ্রিলে আশিককে মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি বলে ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের দাবি, বহু জঙ্গিকে সীমান্তের ওপার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ঢোকায় সাহায্য করেছে সে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, এই মুহূর্তে পাকিস্তানে বসেও কাশ্মীরে একটা বড়সড় জঙ্গি সিন্ডিকেট চালাচ্ছে আশিক।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে গত অক্টোবর মাসে কাশ্মীরের বারামুল্লার এক জনসভায় অমিত শাহ বলেছিলেন, কাশ্মীর -কে পুরোপুরি সন্ত্রাসমুক্ত করাই একমাত্র লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের।তার জন্য যদিবারামুল্লার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয়, তাতে তিনি রাজি। কাশ্মীর -বাসীর সঙ্গে কথা বলতে সরকারের কোনও সমস্যা নেই৷ কিন্তু কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা নয়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, আশিকের ভাই আব্বাসও জঙ্গি। ২০১৪ সালে এক এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় তার। আশিকের আর এক ভাই রিয়াজ বর্তমানে জেলে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর ভোট হতে পারে জম্মু-কাশ্মীরে। সেই কারণেই ভূস্বর্গে জঙ্গিদমন অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানেরই অংশ হিসেবে গত তিন মাসে বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে মেরেছে বাহিনী।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহও কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা সত্ত্বেও কিন্তু সীমান্তের ওপার থেকে জঙ্গি ঢুকেই চলেছে ভূস্বর্গে। নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে। আশিকের
বাড়ি গুঁড়িয়ে তাই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদেরই কেন্দ্র কড়া বার্তা দিল বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.