২০১০ সালে রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। এই বছর সুতি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ ও ২০২০ সালে ওই পঞ্চায়েত সমিতির আসনে সদস্য হয়েছেন তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি ঘোষ। ধনঞ্জয় দলের ব্লক সভাপতি, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক পদের দায়িত্বে ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে ২০২১ সালের ২৫ শে ডিসেম্বর তাঁকে উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সভাপতি করা হয়েছিল। এখনও তিনি সেই পদেই রয়েছেন।
#DhannanjayGhosh pic.twitter.com/h3lQCgjHs0
— Sukanta Mandal (@Sukanta15580327) March 28, 2024
জঙ্গিপুর লোকসভা আসনে ২০ জন আবেদনকারী বিজেপি নেতা-কর্মী মধ্যে থেকে কেন তাঁকেই বেছে নিল দল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দলের সংখ্যালঘু মুখ মাফুজা খাতুনকে ২০১১ সালে জঙ্গিপুরে মনোনয়ন দিয়েছিল বিজেপি। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় বিজেপির ৭ শতাংশ ভোট এক লাফে তিন লক্ষ ১৭ হাজারে ২৪.৫ শতাংশে নিয়ে গিয়ে সকলের নজর কেড়েছিলেন মাফুজা খাতুন। তবে দলের অন্দরের খবর, এ বার মাফুজাকে ফের মনোনয়ন নিয়ে বিজেপির স্থানীয় কিছু নেতার আপত্তি ছিল। জঙ্গিপুর লোকসভায় প্রায় ৬৩ শতাংশ ভোটার মুসলিম সম্প্রদায়ের।
২০১৪ সালে এই লোকসভায় ৯৬ হাজার ভোট পেয়েছিল বিজেপি। গত লোকসভা ভোটে তা বেড়ে হয় তিন লক্ষ ১৭ হাজার। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে লোকসভার অন্তর্গত ৭ টি বিধানসভা মিলিয়ে বিজেপির সেই ভোট দাঁড়ায় তিন লক্ষ ১০ হাজারে।
দলের এক জেলা নেতার কথায়, দলের মধ্যে প্রার্থী নিয়ে চর্চা চলছিল ঠিকই। তা বলে জেলা সভাপতিকে লোকসভায় প্রার্থী করা হবে, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। দলের ফল ভাল হবে বলে মনে হয় না।" দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সুজিত দাস বলেন, “রাজ্যে একটি সংখ্যালঘু "মুখ থাকলে বোধহয় ভাল হত। তবে দল নিশ্চয় ভাবনা চিন্তা করেই জঙ্গিপুরে প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
গত লোকসভায় ২৪.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। সংখ্যালঘু ভোট দুভাগ হবে এ বার। বিজেপি যদি তা ৩০ শতাংশে নিয়ে যেতে পারে তবেই লড়াইয়ে থাকবে, নয়তো নয়"। ধনঞ্জয় ঘোষ যদিও এ দিন বলেন, এ বার জঙ্গিপুরে বিজেপির ভোট অন্তর ২ লাখ বাড়বে। তাই জয়ের ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.