Gold Smuggling বাংলাদেশি যুবতীর গোপনাঙ্গে ৩১ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট, উদ্ধার করল BSF। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪

Gold Smuggling বাংলাদেশি যুবতীর গোপনাঙ্গে ৩১ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট, উদ্ধার করল BSF।

Gold in Bangladeshi womans private part Bsf recover


সোনা পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল এক বাংলাদেশের যুবতী। বিএসএফ (BSF) যাতে সন্দেহ করতে না পারে তার জন্য বৈধ পাসপোর্ট দেখিয়েই পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে
ওই যুবতী বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকছিল।


চেকিং পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়াবার পর তার ব্যাগ তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে BSF এর মহিলা জওয়ানরা যখন তার শরীরে মেটাল ডিটেক্টর ঠেকান সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠল বিপ শব্দ। এমনকী সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠল লাল আলো। ব্যস,সন্দেহের তির ধেয়ে এল ওই বাংলাদেশী যুবতীর দিকে। প্রথমে কিছু নেই বললেও পরে বিএসএফ এর মহিলা জওয়ানদের কাছে ওই বাংলাদেশী যুবতী স্বীকার করলেন, গোপনাঙ্গে সোনার বিস্কুট পাচারের কথা।
Gold in private part
এটাই সেই উদ্ধার হওয়া সোনা

যুবতীর শরীরে কী আছে? লাল আলো ও মেটাল ডিটেক্টরের বিপ শব্দ বিএসএফ মহিলা জওয়ান-দের মনে সেই প্রশ্নই বারবার উঁকি দিচ্ছিল। ততক্ষণে বাংলাদেশের ওই যুবতী বুঝতে পেরে যায় তার আর উপায় নেই সে ধরা পড়ে গিয়েছে। তাই ওই যুবতীকে জেরা করার আগেই স্বীকার করে নেয় নিজের অপরাধের কথা। সে মহিলা বিএসএফ জওয়ান -দের জানায়, নিজের শরীরের ভিতরে সে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে ওপার থেকে এপারে এসেছে পাচারের উদ্দেশ্যে।

মহিলা জওয়ানদের সাহায্যে যুবতীর গোপনাঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয় চারটি সোনার বিস্কুট, যার  বর্তমান বাজার মূল্য ৩১ লক্ষ টাকা। বিএসএফ জানিয়েছে, পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে যাত্রী সেজে সোনা পাচারের চেষ্টা করছিলেন ওই বাংলাদেশী যুবতী।

প্রসঙ্গত, মলদ্বারে লুকিয়ে সোনা পাচারের ঘটনা এর আগে একাধিক ঘটেছে। সম্প্রতি, গোপনাঙ্গে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে পাচারের কাজে নেমেছেন একদল মহিলাও। গত কয়েকদিন বেশ কয়েকটি এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এরা সবাই বাংলাদেশ থেকে সোনা নিয়ে যাত্রী সেজেই ভারতে ঢুকছেন।

বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত বাংলাদেশি যুবতী -র নাম নার্গিস আক্তার। তাঁর বাড়ি ঢাকার নড়িয়া এলাকায়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জওয়ানদের জানিয়েছেন,ভারতে সোনার বিস্কুট পাচার করার জন্য ঢাকার লালবাগে মাসুদ নামে এক ব্যক্তি তাঁর সাথে যোগাযোগ করে।

ওই বিস্কুট গুলি তিনি লুকিয়ে রাখেন তাঁর গোপনাঙ্গে।সেগুলি -কে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল অজানা এক ব্যক্তির কাছে। এই কাজের বিনিময়ে তিনি পাঁচ হাজার টাকা কমিশন পেতেন। কিন্তু, পেট্রাপোল পার হওয়ার আগেই তিনি ধরা পড়ে যান।

ধৃত মহিলাকে এবং বাজেয়াপ্ত হওয়া বিস্কুটের সোনা পেট্রাপোল শুল্কদপ্তরের অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক তথা ডিআইজি এ কে আর্য বলেন, চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকেই সামান্য টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad