সন্দেশখালিতে ইডি (ED)-র ওপর হামলার ঘটনার পরেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সেখানে খুন হওয়া তিন পরিবার। ওই ঘটনায় এফআইআর (FIR) এ নাম থাকলেও কেন চার্জশিটে শেখ শাহজাহানের নাম নেই কেন তা জানতে চান বিচারপতি। ২ দিন আগে আদালত ওই মামলার কেস ডায়েরি তলব করে ।
গত শুক্রবার আদালতে ওই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক -কে প্রশ্ন করেন, সাক্ষীরা তো শেখ শাহজাহানের নাম বলেছেন। তাহলে তাঁর নাম কেন বাদ দিলেন? তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, সাক্ষীরা বিশ্বাসযোগ্য ছিলেন না তাই শাহজাহানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। একথা শুনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তিনি বলেন, কে বিশ্বাসযোগ্য, কে নয়, সেটা আপনিই ঠিক করে নিচ্ছেন? আপনার সঙ্গে তো কথা বলার মানেই হয় না। এর পর রাজ্য সরকারের আইনজীবী নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য আদালতের কাছে সময় চান। আবেদন মঞ্জুর করে ১ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা আকারে নিজেদের বক্তব্য আদালতে জমা দিতে বলে জানান বিচারপতি।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পরে সন্দেশখালিতে রাজনৈতিকভাবে তিন বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করা হয়। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পুলিসের সামনে তপন মন্ডল, প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে শাহজাহানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া হয় নিহতদের পরিবার। ঘটনায় শেখ শাহজাহান ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
প্রাথমিকভাবে চার্জশিটে শাহজাহানের নাম থাকলেও পরে তার নাম বাদ দেয় পুলিস। নিহত তপন মণ্ডলের স্ত্রী সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন শাহজাহানের ভেড়ির মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাঁকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়। ঘটনায় নিহত ২ জনের দেহ এখনও পাওয়া যায়নি। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের নামই চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে দেয় পুলিস। যে কারণে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল তা যে গ্রহণযোগ্য নয়, শুক্রবার হাইকোর্ট তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.