নাক ডাকলে যে যে সমস্যাগুলো হয়
১. ঘুম যদি পরিপূর্ণ না হয়, তাহলে তার থেকে দুশ্চিন্তা হয়, সেখান থেকেই মানুষ অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে। আর যাদের অল্পেতেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সমস্যা আছে স্বল্প ঘুম তাদের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। এর ফলে একটা সময়ে পারিপার্শ্বিক চাপ নেওয়ার ক্ষমতা মানুষ হারিয়ে ফেলে।
২. যেসব ব্যক্তির আগে থেকেই স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা আছে (ঘুমের মধ্যে নাকডাকার সমস্যা) তারা সহজেই অবসাদের শিকার হন। তাদের মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি ও ঘুমের সমস্যা থেকে মস্তিষ্কের কাজ ঠিকমতো হওয়ার রাস্তায় বাধাপ্রাপ্ত হয়। সেখান থেকে আরও বেশি বেশি করে বাড়ে অবসাদ।
৩. যারা ঘুমের মধ্যে অতিরিক্ত নাক ডাকেন তাদের
যৌনজীবনেও সুখ থাকে না।
বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যেসব ব্যক্তির নাক ডাকার সমস্যাটি অসম্ভব বেড়ে গেছে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অনেকটাই ঘাটতি আছে। এর ফলে তাদের মধ্যে বিচিত্র সব মানসিকতা দেখা যায় হয় তারা নিজেদের পার্টনারের সঙ্গে শুতে চান না, কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যর সঙ্গে রাত্রে একই ঘরে থাকতে চান না। ক্রমাগত হীনমন্যতায় ভুগতে ভুগতে তাদের মধ্যে এক ধরনের বিবাহিত জীবনের সমস্যাও তৈরি হয়।
৪. ক্রমাগত ভালো ঘুম না হতে হতে এবং সঙ্গে নাক ডাকার সমস্যা থাকলে মানুষের মধ্যে হতাশা চেপে বসে এবং কোনও কিছুকে ধৈর্য ধরে মোকাবিলা করতেও এরা অপারগ হয়।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে এর সামধান করা সম্ভব :
১. অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা কমিয়ে ফেলুন।
২. রাতের খাবার হালকা খান। আর খুব বেশি ভারী খাবার যদি খান, তাহলে খাওয়ার পরেই সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না।
৩. অ্যালার্জি বা শ্বাসজনিত কোনও সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. ধূমপান ও অ্যালকোহলকে একদম বাদ দিন।
বিশেষ করে ঘুমের আগে নাক ডাকা থেকে অনেক সময় মানসিক সমস্যা হয় যেমন অবসাদ, অ্যাংজাইটি, ইনসোমনিয়া, আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকা, সম্পর্কের মধ্যে ফাটল, কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি আটকে যাওয়া। এরকম হলে লজ্জায় গুটিয়ে না থেকে অভিজ্ঞ মনোবিদের কাছে যান। আপনার হয়তো ওষুধ প্রয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.