ঘটনা হল, ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে বিগত নির্বাচন গুলোতে বিতর্ক তৈরি হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইভিএমের মাধ্যমে ভোটে কারচুপির অভিযোগও করে। অনেকেই পুরোনো ব্যালটেই ভোটপ্রক্রিয়া পরিচালনার পক্ষপাতী। সেই অভিযোগের জবাব হিসাবেই ২০১১ সালের লোকসভা ভোটে আংশিক লোকসভা এলাকায় ভিভিপ্যাট চালু হয়েছে। যে প্রযুক্তিতে ভোটার কাকে ভোট দিচ্ছেন,সেই বিষয়ে ভোটকেন্দ্রেই নিশ্চিত হতে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের লোকসভা ভোটে সব বুথেই ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সেই ভোটে ভিভিপ্যাট নিয়ে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবার ভোটকর্মীদের ইভিএমের সঙ্গে যুক্ত ভিভিপ্যাট নিয়ে এক বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
ইভিএমের প্রশিক্ষণ মূলত দেওয়া হবে প্রিসাইডিং অফিসার ও ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের। যাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট সামাল দিতে তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয়। কোনও ক্ষেত্রে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট কাজ না করলে কী করণীয়, তা-ও প্রশিক্ষণে শেখানো হবে।
ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে ৬ এপ্রিল থেকে। তারপর ধাপে ধাপে ভোটগ্রহণের দিন অনুযায়ী জেলায় জেলায় শিবির করে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ-প্রসঙ্গে ভোটকর্মী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন,প্রিসাইডিং অফিসার ও ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের স্পেশ্যাল ট্রেনিং দেওয়ার প্রয়োজন ছিল এবং সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন জেলায় ট্রেনিংয়ের যে শিডিউল রয়েছে, তাতে অধিকাংশ স্কুলকে প্রথম নির্ধারিত পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হবে। এটা না হলেই ভালো হত।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.