তৃতীয় ওই জঙ্গি ধৃত দুই জঙ্গিকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিল। সবচেয়ে বড়ো কথা, বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য মতিন ও মুসাভিরের হাতে শক্তিশালী বিস্ফোরক তুলে দিয়েছিল এই তৃতীয় জঙ্গিই। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এনআইএ তদন্তে।
তৃতীয় ওই জঙ্গির নাম মোজাম্মেল শরিফ। আইএস জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম মাথা সে। বিগত বেশ কয়েক মাস সে বেঙ্গালুরুতে ঘাঁটি গেড়েছিল। তবে গত ২৭ মার্চ মোজাম্মেল-কে গ্রেফতার করে এনআইএ। তাকে জেরা করেই মতিন ও মুসাভির হোসেনের কলকাতায় আসার খবর জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এরপরই বেঙ্গালুরু থেকে এনআইয়ের একটি তদন্তকারী দল এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কলকাতায় এসে মতিন ও মুসাভিরের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। মতিন ও মুসাভির বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দেওয়ার পর একটা সময় কলকাতায় আসে। এরপর কলকাতায় এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেছিল মোজাম্মেল। ধর্মতলা অঞ্চলে তারা মিলিত হয়।
মতিন ও মুসাভিরের কলকাতা তথা রাজ্যের নানা প্রান্তে হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে থাকার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন ছিল। সূত্রের খবর, সেই অর্থ জুগিয়েছিল মোজাম্মেল। এক লক্ষ টাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছিল মোজাম্মেল। ধৃত দুই জঙ্গিকে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা। অর্থাৎ মতিন ও মুসাভিরের পাশাপাশি আইএস জঙ্গি মোজাম্মেল কলকাতায় এসে কয়েকটা দিন নিঃশব্দে কাটিয়ে গিয়েছে। একটা সময়ে বেঙ্গালুরু ফিরে যায় সে। তবে এনআইএ-র জালে ধরা পড়ে যায় মোজাম্মেল।
মোজাম্মেলের পাশাপাশি মতিন ও মুসাভিরকে জেরা করে আরও বহু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
মোজাম্মেলের পাশাপাশি মুনির আহমেদ নামে আরও এক আইএস জঙ্গির নাম জড়িয়েছে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ কাণ্ডে। টর্ক নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে মেসেজ পাঠানোর পাশাপাশি কথাবার্তা চালাত তারা। মতিন ও মুসাভির কলকাতা তথা রাজ্যের নানা প্রান্তে থাকার পাশাপাশি রাঁচিতে গিয়েও যাতে কিছুদিন গা ঢাকা দেয়, সেকথা তাদের বলেছিল মোজাম্মেল। তখন রাঁচিতে গা ঢাকা দিয়ে থাকা এক আইএস চাঁইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে কিছুদিন ছিল মাতিন ও মুসাভির, এমনটাই খবর।
তদন্তকারীদের ধারণা, মোজাম্মেলের সঙ্গে কলকাতার আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনের যোগাযোগ থাকতে পারে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে এনআইএ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.