অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। মৃতের নাম অভিজিৎ রায় (৪২)। এবারের ভোটে তিনি জামনা অঞ্চলের ১৬৮ নম্বর বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি সংলগ্ন গোয়ালঘরের সামনে থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবাদে এদিন মস্তেশ্বর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপির শতাধিক কর্মী। পুরভাগে ছিলেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা,সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ পোদ্দার। পরে পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, ভোট মিটতেই এলাকায় সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল।
জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, 'ভোটের দিন সকাল থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপির পোলিং এজেন্টদের খুনের হুমকি দিয়েছে। অভিজিৎ রায় সেদিন সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন, ভোট লুট হতে দেননি। সেই আক্রোশেই তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তিনি
আত্মঘাতী হওয়ার লোক নন। গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও তাঁর পা মাটিতে লেগে ছিল।
জেলা সভাপতি বলেন, 'গ্রামে উৎসব চলছিল। অভিজিৎ রায়ও সকলের সঙ্গে আনন্দে মেতে ছিলেন। ভোরের দিকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এর পিছনে রহস্য আছে। আমাদের দাবি, পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।'
মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরা যজানিয়েছেন, 'পোলিং এজেন্ট হওয়ার পর থেকেই অভিজিৎকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।' পরিবারের দাবি, 'এটি কোনও ভাবেই আত্মহত্যার ঘটনা নয়। খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।' তবে পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, 'ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।
এদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে পিটিয়ে বোমা মেরে গুলি করে খুনের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ বহাল রাখল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.