Suvendu Adhikari : লোকসভা ভোটে বামেরাই অন্তত ১২ টি আসনে ভোট কেটে তৃণমূলকে জিততে সাহায্য করেছে। - Probaho Bangla

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪

Suvendu Adhikari : লোকসভা ভোটে বামেরাই অন্তত ১২ টি আসনে ভোট কেটে তৃণমূলকে জিততে সাহায্য করেছে।

Shuvendu claimed cpim helped tmc win by cutting opposition votes

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এত বেশি আসন পেয়েছে সিপিএমের দৌলতেই। এমনই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, অন্তত ১২ টি আসনে ভোট কেটে তৃণমূলকে জিততে সাহায্য‌ করেছে সিপিএম (CPIM)।


বৃহস্পতিবার‌ সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে‌ এমনটাই বলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন,‌ “সিপিএমের যে‌ এজেন্ডা ছিল, সেই এজেন্ডায় তারা সফল হয়েছে। তারা হিন্দু ভোট কাটার জন্য দাঁড়িয়েছিল। ওখানে সুজন (দমদমে সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী), এখানে সায়ন (তমলুকে সিপিএম প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়), সব্যসাচীরা (হাওড়ায় সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়) সবাই দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। এটা ইন্ডি জোটের কৌশল। 


পশ্চিমবঙ্গকে যারা ৩৪ বছর ধরে লুটেপুটে খেয়েছে, ৫৪ হাজার লোককে খুন করেছে, যারা সাঁইবাড়ি, নানুর, নন্দীগ্রাম, সূচপুর, আনন্দমার্গী সন্ন্যাসীদের পুড়িয়েছে, সব কলকারখানাতে তালা লাগিয়েছে, তাদের এজেন্ডায় তারা সফল হয়েছে। কিন্তু সময় কথা‌ বলবে।'


শুভেন্দুর দাবি, তমলুকের সিপিএম প্রার্থী ভোট না কাটলে আরও বেশি ভোটে জিততেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়া যাদবপুর,‌ দমদমসহ বেশ কিছু কেন্দ্রে সিপিএম গতবারের থেকে বেশি‌ ভোট পাওয়ায় সেখানে তৃণমূলের‌ জিততে সুবিধা হয়েছে বলে শুভেন্দু মনে করছেন। যেমন, দমদম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় প্রায় ৭১ হাজার ভোটে‌ জিতেছেন। সেখানে সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী পেয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ ৪১ হাজার ভোট। 


যাদবপুর‌ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থীকে। সেখানে সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য পেয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ভোট। বরানগর বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন ৮,১৪৮ ভোটে। সেখানে দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। আর ফলাফল বলছে বরানগর বিধানসভার উপনির্বাচনে‌ সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্য পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৩৫ ভোট। যদিও‌ শুভেন্দুর মুখে এদিন এই সব পরিসংখ্যানের কথা শোনা যায়নি। তবে তিনি যে এগুলির কথাই বলতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট। 


উল্লেখ্য, এই লোকসভা‌ নির্বাচনে সিপিএম ২৩ টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছিল। সেখানে মহম্মদ সেলিম এবং সুজন চক্রবর্তীর জামানত রক্ষা পেয়েছে। বাকি ২১ প্রার্থীর জামানত‌ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এছাড়া আরও সাতটি আসনে একই হাল হয়েছে তাদের শরিক দলের। 


উল্লেখ্য, প্রদত্ত ভোটের ১৬.৬৭ শতাংশ না পেলে একজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই জায়গায় তাদের লড়া অধিকাংশ লোকসভা কেন্দ্রে বাম প্রার্থীরা জামানত রক্ষা করতে না পারলেও তাঁরা যে ভোট পেয়েছেন, তা বিজেপির হারের কারণ হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করে। 


ঘটনা হল, এই লোকসভা নির্বাচনে বামেরা প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই চতুর্দিকে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছিল অন্য বিষয় নিয়ে।‌ সুজন চক্রবর্তী, সৃজন ভট্টাচার্য,‌দীপ্সিতা ধর-সহ অন্যরা তাঁদের কেন্দ্রে কতটা ভোট কাটবেন, সেই ভোট কাটার ফলে বিজেপি বা তৃণমূল কারা বেশি লাভবান হবে, সেটা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।অর্থাৎ বামেরা কোনও কেন্দ্রে জিততে পারবে কি না, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। কারণ, বাংলায় লড়াইটা পুরোপুরি ‘বাইনারি’ হয়ে গিয়েছে বহুদিন ধরেই।  হয় বিজেপি,নয়তো তৃণমূল, এই লড়াইটাই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে।‌ 


স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে যে, বামেরা একটানা ৩৪ বছর বাংলায় রাজত্ব করেছে, তারা এখন কী শুধুই ‘ভোটকাটুয়া’ হিসাবে পরিচিত হচ্ছে? আসলে নির্বাচনের আগেই ‘ভোটকাটুয়া’ ইমেজ কার্যত বামেদের গায়ে সেঁটে গিয়েছিল। আর বৃহস্পতিবার সেই বিষয়টি‌ নিয়েই মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please do not enter any spam link in the comment box.

Post Top Ad