জো বিডেন (Joe Biden)-র নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। এক প্রশ্নের উত্তরে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জিন পিয়েরে বলেছেন, তাদের এ বিষয়ে বলার কিছু নেই। জিন পিয়েরে শেখ হাসিনার সেই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জিন পিয়েরে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেন। এ সময় ললিত নামে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতি এবং আমেরিকা-ভারত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি জিন পিয়েরে-কে জানান যে সপ্তাহের শেষে বেশ কয়েকটি হিন্দু আমেরিকান সংগঠন হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছিল।
সাংবাদিক ব্রিফিং চলাকালে সাংবাদিক উল্লেখ করেন যে ওই আমেরিকান সংগঠনগুলো প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানিয়েছিল বাংলাদেশে আমেরিকান এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে নির্যাতন বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে। ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই হিন্দু কংগ্রেস সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি এবং শ্রী থানেডারও প্রশাসনকে চিঠি লিখে বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে তাদের সাহায্য করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জিন পিয়েরে বলেন, “আমরা অবশ্যই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। আমার কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই।” তিনি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে যখনই আলোচনা হয়, প্রেসিডেন্ট সর্বদা প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগতভাবে জোরালো ও স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু এ মুহূর্তে আমার কাছে এ বিষয়ে বলার কিছুই নেই।
ললিত হোয়াইট হাউসের মুখপাত্রের কাছে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই অভিযোগ সম্পর্কেও জানতে চান যেখানে তিনি বলেছেন যে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়, কারণ তিনি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ আমেরিকাকে দিতে রাজি হননি।
এই অভিযোগের জবাবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জিন পিয়েরে বলেন, “এতে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যে কোনো রিপোর্ট বা গুজব যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনাগুলির সাথে জড়িত, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এটি বাংলাদেশি জনগণের জন্য এবং তাদের দ্বারা বেছে নেওয়া একটি বিকল্প। আমাদের বিশ্বাস, বাংলাদেশি জনগণকেই বাংলাদেশের সরকারের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে হবে এবং আমরা এটাই সমর্থন করি।”
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন যে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করেছে কারণ তিনি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ আমেরিকাকে দিতে অস্বীকার করেছিলেন। বঙ্গোপসাগরে প্রভাব বিস্তার করতে আমেরিকা এই দ্বীপটি দখল করতে চায়। সহিংসতার পর শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে রয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please do not enter any spam link in the comment box.